মাসে ১৩ কোটি টাকা বেতন দেন অনন্ত জলিল
দেশের বন্ধ পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে গত মাসের শেষের দিক থেকেই। সীমিত আকারে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কারখানা মালিকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানাগুলো চালু রাখছেন তারা।
করোনাকালে নানা কারণে প্রায় সব সময় আলোচনায় ছিলেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন মানুষের কাছে। অন্যদিকে ১ মে ফ্যাক্টরি খুলে রাখার অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অনন্ত। পরে অবশ্য এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
এর মধ্যে কতোটা নিয়ম মেনে কারখানা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়ে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমরা শতভাগ কেয়ার নিয়ে কারখানা চালাচ্ছি। সারাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা যেন দেখতে পারেন। সাংবাদিকরাও দেখতে পারেন, তারা প্রচার করতে পারেন। আমরা শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানা পরিচালনা করছি।’
অনন্ত জলিল বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের বিরুদ্ধেই একদল মানুষ ফেসবুক- ইউটিউব ও বিভিন্ন নিউজে অযথা বাজে মন্তব্য করছে। এসব অযথা বাজে মন্তব্য করা মানুষগুলো কিন্তু এই অসহায় কর্মচারীদের একবেলা খাবারের ব্যবস্থাও করে না। এসব কথা আসলে আমি বলতে চাই না। কিছু কথা না বললেই নয়, কিছু কথা বলতে না পারলে মনে হয় যে বুক ফেটে মারা যাব। যখন ফেসবুকে আমাদের নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য পড়ি তখন মনে হয় এরা কি বুঝে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সম্বন্ধে? বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের কন্ট্রিবিউশন কি?’
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘আমার কোম্পানি চালাতে মাসে ১৭ কোটি টাকা লাগে এটা তো ছোটখাটো কোন ব্যাপার নয়। সব মিলিয়ে ১৩ কোটি টাকা বেতন দিতে হয়। ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা গ্যাস বিল দিতে হয়। বিদ্যুত বিলও আসে প্রায় কোটি টাকারও বেশি। আমি আমার শ্রমিকদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। কারণও ওদের মাধ্যমেই এতো বড় ফ্যাক্টরি চলে।’
বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় অনন্ত জলিল অভিনয় করেছেন ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমায়। আগামী ঈদুল আজহায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এর আগেই ছবির প্রচারণা শুরু করতে চান। সিনেমার পোস্টার দিয়ে শুরুতেই হলিউডের সঙ্গে পাল্লা দিতে চান অনন্ত।
হলিউড মানের পোস্টার ডিজাইনার খুঁজছেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক ও প্রযোজক। ডিজাইন পছন্দ হলে সিনেমাটির পোস্টারিংয়ের সব কাজ এবং তার সঙ্গে স্থায়ীভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে ডিজাইনারকে।
সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তানে এর শুটিং হয়েছে। ছবিটির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তা তুলে ধরা হবে।
যৌথ প্রযোজনার এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন বর্ষা, অনন্তর বন্ধু সুমন ফারুক, খল অভিনেতা মিশা সওদাগরসহ অনেকে। এছাড়া ইরান-লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রথম কাতারের তারকারা এতে যুক্ত আছেন।