মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ অপরিবর্তিত
চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। মূলত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন ও রফতানি ১১ মাসের সর্বনিম্নে নামায় মজুদে উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়নি। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী ও আটটি খামার নিয়ে এ জরিপ চালায় রয়টার্স। এতে দেখা গেছে, মাস শেষে মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯০ হাজার টনে। আগের মাসের তুলনায় মজুদ মাত্র দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি ছিল।
তথ্য বলছে, মালয়েশিয়ায় পর পর তিন মাস ধরে কমেছে পাম অয়েল উৎপাদন। এর মধ্য দিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্নে নেমেছে উৎপাদন। সর্বশেষ জানুয়ারিতে উৎপাদন হয় ১৩ লাখ টন পাম অয়েল, যা আগের মাসের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
জানুয়ারিতে কত টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে তার চূড়ান্ত হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সম্ভাব্য ১১ লাখ ২০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছে মালয়েশিয়া। এক মাসের ব্যবধানে রফতানি ২১ শতাংশ কমেছে।
এদিকে সম্প্রতি উৎপাদিত পাম অয়েলের এক-পঞ্চমাংশ সরকারের কাছে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এ ঘোষণার পর পরই মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তির দাম বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ১ হাজার ৩৭৪ ডলার ২১ সেন্টে।