মার্সেল ফ্রিজ কিনে মোটরসাইকেল পেলেন কৃষক আছাদ

ফ্রিজ কেনায় বাড়লো আয়! শুনে কি অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন- ফ্রিজ কেনায় বিদ্যুৎ বিল বাবদ মাসিক খরচ তো আগের চেয়ে কিছুটা বাড়বে, উল্টো শুনলেন আয় বাড়ার কথা। অবাক হওয়ারই মতো এই ব্যাপারটি ঘটলো গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার চকামবাড়ী-নয়াকান্দি গ্রামের কৃষক আছাদ সিকদারের জীবনে।

ব্যাপারটি খুলে বলছি। সম্প্রতি আছাদ সিকদার মাদারীপুর জেলার টেকেরহাট বাজারে মার্সেলের পরিবেশক মেসার্স ন্যাশনাল ট্রেডার্স থেকে ১৮ হাজার ২’শ টাকা দিয়ে ৮সিএফটি আয়তনের একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর সারা দেশে চলমান মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় তিনি মোবাইল ফোন থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ফ্রিজটি রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ক্যাম্পেইনে ঘোষিত অফারের আওতায় মার্সেল কোম্পানির কাছ থেকে মোটরসাইকেল উপহার পাওয়ার ফিরতি ম্যাসেজ পান তিনি। অপ্রত্যাশিতভাবে মোটরসাইকেল উপহার পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা আছাদ।

তিনি বলেন, ‘মার্সেল ফ্রিজ কিনে জীবনে এই প্রথম কোনো পুরস্কার যেমন পেলাম; তেমনি আয়-রোজগারেরও আরেকটি উপায় খুঁজে পেলাম। আগে জমিতে কোনো কাজ না থাকলে বেকার বসে থাকতাম। কখনও কখনও এলাকায় কাজ না পেলে ঢাকায় চলে যেতাম। এখন থেকে কাজের জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। এলাকার অনেকেই মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে প্রতিদিন ভালো টাকা আয় করছেন। মার্সেলের কাছ থেকে মোটরসাইকেল উপহার পাওয়ায় এখন থেকে আমিও কৃষিকাজের পাশাপাশি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে টাকা আয় করতে পারবো। এজন্য মার্সেল কোম্পানির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

মার্সেল ফ্রিজ কিনে উপহার পাওয়া মোটরসাইকেলের চাবি গত বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে আছাদ সিকদারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মো. নূরুল ইসলাম রুবেল, মার্সেলের মার্কেটিং ম্যানেজার রেজাউল করিম খান রানা ও মেসার্স ন্যাশনাল ট্রেডার্স- এর সত্ত্বাধিকারী দিলিপ কুমার কুন্ডু।

মার্সেলের ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মো. নূরুল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশব্যাপী চলছে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইন। চলতি মাস থেকে চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৩। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ক্যাম্পেইনের সিজন-১ এবং জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সিজন-২ চলেছে।’

তিনি জানান, গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই ক্যাম্পেইন। পণ্য কিনে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করছেন ক্রেতারা। ক্যাম্পেইনের কারণে একদিকে কাস্টমার অনলাইন ডাটাবেজ তৈরির কাজ যেমন দ্রুত ও সহজ হয়েছে, তেমনি বিক্রিও বেড়েছে অনেক।

মার্সেল ফ্রিজ কেনা প্রসঙ্গে আছাদ সিকদার বলেন, ‘মার্সেল দেশি কোম্পানি। চাচাতো ভাই, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকেই মার্সেলের ফ্রিজ, টিভি ব্যবহার করছে। তাদের কাছে শুনেছি মার্সেল পণ্য ভালো চলে। দামও কম। ডিজাইনও রয়েছে অনেক। তাই আমার বাড়ির জন্যও মার্সেল ফ্রিজ কিনলাম।’

সূত্র মতে, মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৩ এর আওতায় ফ্রিজ, টিভি ও এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এলইডি টিভি ও অনেক পণ্য ফ্রি। ওইসব সুবিধা না পেলেও নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাবেন ক্রেতারা। সিজন-৩ এর আওতায় চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই মার্সেল পণ্যের ক্রেতারা এসব সুবিধা পাচ্ছেন।

ফ্রিজ কেনার আগে এসব সুবিধা পাওয়ার কথা জানা ছিল না বলে জানান কৃষক আছাদ সিকদার। ফ্রিজ কেনার পরই শোরুমে বিক্রেতার কাছে জানতে পারেন নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য উপহার হিসেবে রয়েছে। এরপর তিনি বিক্রেতাকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে ফ্রিজ লাগবে, তাই কিনতে এসেছি। এরপর কপালে কোনো উপহার বা পুরস্কার থাকলে পাবো, না থাকলে পাবো না।’ ফ্রিজ কিনে মোটরসাইকেল উপহার পাওয়ায় গ্রামে ব্যাপক হৈ চৈ পড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *