মহাকাশে বিলাসবহুল হোটেলের রহস্য ফাঁস
এবার বিলাসবহুল হোটেল ব্যাবস্থা চালু হতে যাচ্ছে মহাকাশে। ২০২২ সালে ‘অরোরা স্টেশন’ নামের এই হোটেলটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে হোটেলের ভেতরের কয়েকটি ছবি।
আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ওরিয়ন স্পান‘ তৈরি করছে এই মহাকাশ হোটেলটি। দুজন ক্রু সদস্যসহ একসঙ্গে মোট ছয়জনের থাকার ব্যবস্থা থাকবে এই হোটেলে। তাদের জন্যে থাকবে ১২ দিন মহাকাশ ভ্রমণের লোভনীয় ব্যবস্থা।
অরিয়ন স্পান এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রাঙ্ক বানগার এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা চাই সবাই যেনো মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ পান। উদ্বোধনের পরপরই আমরা এটিকে পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়ার কথা ভেবে রেখেছি। এর জন্যে এতো কম টাকা নেওয়া হবে যা কেউই কল্পনাও করতে পারবেন না’।
মহাকাশে মোট ১২ দিনের ভ্রমণ সময়ে পর্যটকরা পৃথিবীটাকে দেখবেন ২০০ মাইল ওপর থেকে। লো-আর্থ অরবিটে (এলইপি) অবস্থান করে হোটেলে বসে পর্যটকরা পৃথিবীকে একবার করে প্রদক্ষিণ করবেন প্রতি ৯০ মিনিটে। এর ফলেই প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন তারা।
দৈর্ঘ্যে ৩৫ ফুট এবং প্রস্থে ১২ ফুট এই বিলাশবহুল হোটেলটি দেখতে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের মতোই। ২০০১ সালে মহাকাশ পর্যটন শুরু হওয়ার পর এটি বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে। তবে এর পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত অর্থের পরিমাণ নিয়েও বেশ সচেতন ওরিয়ন স্পান।
আন্ত্ররজাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বিশ্বের প্রথম এই বিলাসবহুল মহাকাশ হোটেল ‘অরোরা স্টেশন’-এ বসে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দেখা যাবে ১৬ বার সূর্য উঠার দৃশ্য। হোটেলটির উদ্বোধন ২০২১ সালে হলেও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে ২০২২ সাল থেকে।
বানগার এ বিষয়ে তার বার্তায় বলেন, ‘পর্যটকদের মহাকাশ ভ্রমণের জন্যে প্রস্তুত করতে ২৪ মাসের একটি প্রস্তুতি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, আমরা সেটি কমিয়ে তিনমাসে নিয়ে আসবো। ফলে খরচটাও কমে যাবে কয়েকগুণ’।
এছাড়াও, হোটেলটির বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটকদের ভ্রমণ খরচ আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ঠিক কতো খরচ হবে সে সম্পর্কে বার্তায় কোন তথ্য না থাকলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তা জনপ্রতি ৮০ হাজার ডলারের মতো হতে পারে।