মধ্যপ্রাচ্যে নির্মাণাধীন ১ লাখ ২৩ হাজার হোটেল রুম

স্টাফ রিপোর্টার

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলে (এমইএনএ) বড় হচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। মূলত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলের পর্যটন। পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে, নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে, আকর্ষণ তৈরি করতে নানা ধরনের পরিকল্পনা করছে এ অঞ্চলের দেশগুলো। এর অংশ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন হোটেল, বাড়ানো হচ্ছে হোটেল রুমের সংখ্যা। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

গত বছরের ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় সবমিলিয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৫টি হোটেল রুম নির্মাণাধীন ছিল, যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

এমইএনএ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পর্যটনে সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটিতে ৪০ হাজার ৭৪২টি হোটেল রুম তৈরির কাজ চলছে। ইউএইতে এ সংখ্যা ২৭ হাজার ৪৫৬টি। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অন্য দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা ইউরোপে বরং উল্টো দৃশ্য দেখা গেছে। এসব স্থানে কমছে হোটেল রুম তৈরির পরিমাণ। যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরের ব্যবধানে হোটেলরুম তৈরি কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, ইউরোপের ক্ষেত্রে এ হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৮ লাখ ৯১ হাজার ২৩৬টি হোটেল রুম নির্মাণাধীন, যা ঠিক এক বছর আগের সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ কম।

নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসবের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে দুবাইয়ে হোটেলগুলোয় বুকিংয়ের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। যদিও তা মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় কম। কিন্তু এটা বোঝা যায় যে পর্যটন খাত ব্যবসায় ফিরতে শুরু করেছে।

বাজার বিশ্লেষক এসটিআরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে দুবাইয়ের হোটেলগুলোর কক্ষ ৯১ শতাংশ পূর্ণ ছিল। এসব পর্যটক এসেছিলেন নতুন বছর উপলক্ষে দুবাই আয়োজিত আতশবাজি প্রদর্শনী ও উৎসবে শামিল হতে। সংস্থাটি বলছে, যদিও দুবাইয়ে হোটেলগুলোর বুকিংয়ের পরিমাণ মহামারীর আগের সময়ের মতো নয়। কিন্তু রুমপ্রতি রাজস্ব আদায়ে প্রতিদিনের গড় হার ২০১৯ সালের অবস্থার চেয়ে ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *