মধ্যপ্রাচ্যে উড়োজাহাজ ভ্রমণের যাত্রী বেড়েছে
কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয় উড়োজাহাজ পরিবহন খাত। পরবর্তী সময়ে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে কভিডের ওমিক্রন ধরনের প্রকোপের আশঙ্কায় সীমিত ছিল এয়ারলাইনসগুলোর কার্যক্রম। তবে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট খাত পুনরুদ্ধার হয়েছে অনেকটাই। এরই ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোর যাত্রী সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। খবর খালিজ টাইমস।
আইএটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর জানুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর যাত্রী গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪৫ শতাংশ বেশি ছিল। বৈশ্বিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া আরপিকে (রেভিনিউ প্যাসেঞ্জার কিলোমিটার) হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রী ছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। তবে কভিড-১৯ মহামারীর আগে ২০১৯ সালের তুলনায় যাত্রী এখনো ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ নিচে ছিল।
এদিকে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশীয় যাত্রী গত বছরের তুলনায় ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে এ হার ছিল ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। আইএটিএর তথ্য বলছে, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে সব অঞ্চলেই উড়োজাহাজ পরিবহন খাতের প্রবৃদ্ধি বেশি ছিল। তবে ওই মাসে মহামারীপূর্ব ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় আরপিকে ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ কম ছিল।
এ বিষয়ে আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। ফলে পুনরুদ্ধার হচ্ছে উড়োজাহাজ পরিবহন খাত। তবে এখনো অনেক দেশের সরকারই বিধিনিষেধ তুলে নেয়নি। তারা ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ না করে পুরোপুরি মুছে দিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রেখেছে। এতে করে সে দেশগুলো আর্থিক ও সামাজিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে উড়োজাহাজ পরিবহন খাতে যাত্রী চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ওই মাসে যাত্রী চাহিদা মহামারীপূর্ব সময়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্যের অভ্যন্তরীণ খাতের পুনরুদ্ধার আন্তর্জাতিক বাজারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
উইলি ওয়ালশ বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উড়োজাহাজ পরিবহন খাতের পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। আগামী মাসগুলোয় যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কাম্য। সীমান্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী নিশ্চিতে সরকার তদারকি করতে পারে।