ভিয়েতনামে কৃষকরা কফি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন
ভালো দাম না পাওয়ায় ভিয়েতনামের কৃষকরা কফি বিন বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। ফলে এশিয়ার প্রধান কফি বাজারটিতে পণ্যটির বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভিয়েতনামের সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডের কৃষকরা বর্তমানে প্রতি কেজি কফি ৩৮ হাজার ৮০০ থেকে ৪০ হাজার ৭০০ ডংয়ে বিক্রি করছেন। অথচ গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি কফি ৩৯ হাজার ৩০০ থেকে ৪১ হাজার ডংয়ে বিক্রি হয়েছে।
সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডের এক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে কফি বিন বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রে দাম খুব বেশি আকর্ষণীয় নয়। এছাড়া দীর্ঘসময় ধরে জাহাজীকরণ প্রতিবন্ধকতার কারণে পণ্যটির চাহিদাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কফির মাত্র ২০-৩০ শতাংশ বিক্রি করেছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা ৫ শতাংশ ব্ল্যাক ও ব্রোকেন গ্রেড-২ রোবাস্তা কফিতে টনপ্রতি ২৫০-২৭০ ডলার করে মূল্যছাড় দিচ্ছেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী টনপ্রতি ৪০০ ডলার মূল্যছাড়ের কথাও জানিয়েছেন। তথ্য বলছে, মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন কফির দাম ১ শতাংশ বা ৩০ ডলার বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ২২৫ ডলারে।
দেশটির শুল্ক বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ভিয়েতনামের কফি রফতানি নভেম্বরের তুলনায় ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৯ টনে। কিন্তু বার্ষিক রফতানিতে ধস নেমেছে। ২০২০ সালের তুলনায় রফতানি দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। বিদায়ী বছর মোট ১৫ লাখ ৬০ হাজার টন কফি রফতানি করে দেশটি। বছরজুড়ে লকডাউন, সরবরাহ চেইনে সংকট, জাহাজীকরণ ব্যয় বৃদ্ধি, কনটেইনারের অভাবসহ নানা কারণে কফি রফতানিতে বিঘ্ন ঘটেছে।