ভারতে দেড় কোটি টন চিনি উৎপাদন
বিদায়ী বছরের ১ অক্টোবর থেকে ভারতে চিনি উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম সাড়ে তিন মাসে (১ অক্টোবর-১৫ জানুয়ারি) দেশটিতে চিনি উৎপাদন আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রায় দেড় কোটি টনে পৌঁছে গেছে।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হয়েছে। এ সময় পণ্যটির সম্মিলিত উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টন। চলতি বছর শেষে দেশটিতে চিনি উৎপাদন আরো ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার টনে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আইএসএমএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুম শুরুর পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের চিনিকলগুলোয় মোট ১ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রথম সাড়ে তিন মাসে দেশটিতে মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভারতে অতিরিক্ত ১৩ লাখ ১০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, এবারের মৌসুমের প্রথম সাড়ে তিন মাসে পুরো ভারতে ৫১০টি চিনিকল পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এদিকে এবারের মৌসুমে ভারতে মোট ৩ কোটি ৭ লাখ টন চিনি উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে আইএসএমএ। ২০১৮-১৯ মৌসুমের শুরুতে দেয়া পূর্বাভাসে এবার ভারতে ৩ কোটি ১৫ লাখ টন চিনি উৎপাদনের প্রাক্কলন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রাজ্যের ১৮৮টি চিনিকলে ৫৭ লাখ ২৫ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে গত সাড়ে তিন মাসে উত্তর প্রদেশের মোট ১১৭টি চিনিকল সক্রিয় ছিল।
এ সময় উত্তর প্রদেশে ৪১ লাখ ৯০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। কর্ণাটকে গত সাড়ে তিন মাসে ৪২ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। বাকি চিনি উৎপাদন হয়েছে তামিলনাড়ু, গুজরাট, বিহারসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে।