ব্রাজিলে কফি উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস
২০২২-২৩ মৌসুমে ব্রাজিলে কফি উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন বৃদ্ধির মাত্রা হবে স্বল্প। সম্প্রতি কমোডিটি ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি টাকা ইনসাইটসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আগামী মাসে ব্রাজিলে কফির বিপণন মৌসুম শুরু হবে। শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। কোম্পানিটির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, নতুন এ মৌসুমে ব্রাজিলে ৪ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি উৎপাদন হবে। চলতি মৌসুম শেষে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ব্যাগ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক নোটে কোম্পানিটি জানায়, এ প্রক্ষেপণ অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত হতে পারে। কারণ কয়েক মাসে গড় মাত্রার তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত কফি উৎপাদনে বড় আকারের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিল। যদিও আবহাওয়া বিভাগের তথ্য বলছে, শস্য ও কফি উৎপাদনসমৃদ্ধ এলাকাগুলোয় এখনো মাটিতে আর্দ্রতার চরম ঘাটতি রয়েছে।
টাকা ইনসাইটসের কো-ফাউন্ডার জুডিথ জেনস বলেন, গত বছর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। তার ওপর দেখা দেয় তীব্র তুষারপাত। তলানিতে নেমে আসে কফি উৎপাদন। ফলে বিশ্ববাজারে জনপ্রিয় পানীয় পণ্যটির ঘাটতি দেখা দেয়। বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার কারণে দাম এক দশকের শীর্ষে উঠে আসে। এ বছরও সে পরিস্থিতি থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কফি খাত। তবে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
এ বছর ২০২০-২১ সাইকেলের মতো রেকর্ড উৎপাদন সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
ব্রাজিল বিশ্বের শীর্ষ অ্যারাবিকা কফি উৎপাদক। দেশটির মোট উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশই অ্যারাবিকা। বাকি একাংশ আসে রোবাস্তা থেকে।