ব্রাজিলের সয়াবিন রফতানি বেড়েছে
বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন উৎপাদক দেশ ব্রাজিল। রফতানিতেও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির আধিপত্য রয়েছে। গত মাসে তেলবীজের রফতানি বেড়েছে। আগাম ফসল সংগ্রহ এবং চীনের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে খরার কারণে সয়াবিন উৎপাদন কমার পূর্বাভাস মিলেছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।
দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ সেসেক্স সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত মাসে ব্রাজিলে ২৪ লাখ ৭০ হাজার টন সয়াবিন রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৯ হাজার ৪৯৮ টন। গত মাসে রফতানীকৃত সয়াবিনের বেশির ভাগই পাঠানো হয়েছে চীনে। দেশটি বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন আমদানিকারক।
ব্রাজিলে সয়াবিন উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। মৌসুম শেষ হবে চলতি বছরের আগস্টে। যথাসময়েই আবাদ শুরু হয়। এ কারণে আগাম ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এটি রফতানি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
কৃষিপণ্যের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এজিরুরাল জানায়, আবাদকৃত সয়াবিনের ১০ শতাংশ এরই মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ কোটি ৪ লাখ হেক্টর জমি থেকে সয়াবিন সংগ্রহ করা হয়েছে।
সাসেক্সের দেয়া তথ্য বলছে, গত বছর ব্রাজিল ৮ কোটি ৬১ লাখ টন সয়াবিন রফতানি করে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই রফতানি করা হয় চীনে।
গড় প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছর ব্রাজিলের সয়াবিন রফতানি ৯ কোটি টন ছাড়াতে পারে। তবে খরার কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস সত্য হলে আগামী মাসগুলোয় রফতানি নিম্নমুখী হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে ব্রাজিলের সয়াবিন উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দিয়েছে এজিরুরাল। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মৌসুম শেষে উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৮৫ লাখ টনে, যা নভেম্বরে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় ১ কোটি ৭০ লাখ টন কম।