ব্রাজিলের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৮৮১ কোটি ডলার
ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে দেশটি ৮৮১ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত পেয়েছে। যদিও এটি অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। খবর রয়টার্স।
রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা জুনে ব্রাজিলের ৯৯৯ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বাণিজ্য উদ্বৃত্তের মাসভিত্তিক এ পরিসংখ্যান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুনে ২ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের পণ্য ও পরিষেবা রফতানি করেছে ব্রাজিল। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে দেশটির আমদানি ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি জটিলতা বেড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থায়ও। এ কারণে পণ্যের মূল্য বেড়ে উপকৃত হচ্ছে রফতানিনির্ভর অর্থনীতিগুলো। তবে একই কারণে ব্রাজিলের আমদানিও দ্রুত বেড়েছে। ফলে চলতি বছরের জন্য আমদানি ব্যয়ের প্রাক্কলন সংশোধন করেছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৩ হাজার ৪২০ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত পেয়েছে ব্রাজিল। যেখানে গত বছরের এ সময়ে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এখন সরকারের চলতি বছর ৮ হাজার ১৫০ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের লক্ষ্য সরকারের। যদিও গত এপ্রিলে ১১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটি। একইভাবে রফতানি পূর্বাভাসও কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। ২০২২ সালে ৩৪ হাজার ৮৮০ কোটি ডলারের পরিবর্তে ৩৪ হাজার ৯৪০ কোটি ডলারের ব্রাজিলীয় পণ্য ও পরিষেবা রফতানির লক্ষ্য সরকারের। এ সময়ে আমদানি ২৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এর আগে আমদানি ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলার।