ব্রঙ্কিওলাইটিস এর লক্ষণ

শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ ব্রঙ্কিওলাইটিস। শীতে শিশুদের ব্রঙ্কিওলাইটিসের সমস্যা বাড়ে।

ব্রঙ্কিওলাইটিসের প্রধান সমস্যা হলো কাশি। প্রচণ্ড কাশি। কখনো কখনো কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হয়। এক বছরের নিচের বাচ্চাদের এটি বেশি হয়। এতে তেমন জ্বর থাকে না। কিন্তু যেহেতু এটি ভাইরাসের কারণে হয়, তাই দেখা যায়, নাক দিয়ে পানি পড়ছে, নাক একটু বন্ধ বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে তৃতীয় দিন থেকে দেখা গেল তার কাশি শুরু হয়ে গেছে। এত কাশি যে খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না—এ রকম।

এমনিতে দেখা যায়, বাচ্চা খেলছে। তবে যখন তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে থাকে, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের নিচের অংশ দেবে যায়। এ প্রক্রিয়ার কারণে শিশুর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। একে বলে হাইপোক্সিয়া।

কখনো কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাসায় আর রাখা যায় না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সবার আগে অক্সিজেন দিতে হয়। বাচ্চা যদি খেতে না পারে, তাহলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও পানির জন্য তার স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ব্রঙ্কিওলাইটিসে মৃত্যু হওয়ার চেয়ে ভোগান্তি হয় বেশি।

ঠিক একইভাবে যদি নিউমোনিয়ার কথা বলি, নিউমোনিয়ার কিন্তু কোনো বয়স নেই। বাচ্চা নিউমোনিয়া নিয়েই জন্ম নেয়। নিউমোনিয়া যেকোনো রোগ-জীবাণু দিয়ে হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। পুষ্টিহীনতা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো কমে যায়। এমন হলে শরীরের যেকোনো জায়গায় জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে।

কিন্তু আপনি খেয়াল করেন, আমরা প্রতি মিনিটে ৩০ থেকে ৪০ বার করে শ্বাস নিচ্ছি। তখন বাতাস থেকে রোগ জীবাণুগুলো শ্বাসতন্ত্রে ঢুকে যায়। প্রদাহ হয়, নিউমোনিয়া হয়। এখানে জ্বর হয়। কারণ, এটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। অনেক জ্বর হয়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়, কাশি হয়, বুকে ব্যথা হয়। ঠিকমতো অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা না হলে রোগ অনেক জটিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *