বেড়েছে সুতার দাম
দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের টানবাজার ও নরসিংদীর মাধবদীতে সুতার দাম আরেক দফা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা উৎপাদনের কাঁচামাল তুলার মূল্যবৃদ্ধি ও নিম্নমুখী উৎপাদনের অজুহাতে স্পিনিং মিল থেকে সুতার দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাজারে বিভিন্ন কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি ৮-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুতার দাম বাড়লেও বাজারে বেচাকেনা কম। তাছাড়া কাপড়ের দাম বাড়েনি। এতে তাঁতিদের লোকসানে কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে অনেক তাঁতি কাপড় উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। একই কাউন্টের সুতার দাম ছিল ৫৫-৭৫ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১১২-১১৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১০৫ টাকা।
এক্সপোর্ট কোয়ালিটির ২৪, ২৬ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৮২-১৮৫ টাকা দরে, যা এক মাস আগেও ছিল ১৬৫-১৭০ টাকা।
৪০ কাউন্টের সুতা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২১০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ১৯৫-২০০ টাকায়। ৫০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ২৪৫-২৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ২৩০ টাকা দরে।
৬০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ২৮০-২৮৫ টাকায়, যা ১০-১২ দিন আগে ছিল ২৭০-২৭৫ টাকা। ৮০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ৩৩০-৩৩৫ টাকা দরে, যা ১৫ দিন আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৩২৫ টাকা দরে।
বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা জানান, করোনার পর সুতার বাজার বাড়তে থাকে। সে সময় বিভিন্ন কাউন্টের সুতার দাম প্রকারভেদে পাউন্ডপ্রতি ৭০-৮০ টাকা বেড়ে যায়। গত বছরের শেষ দিকে দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু নতুন বছরের শুরু থেকে দাম আবার বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সুতার মূল্যবৃদ্ধি ও তুলা উৎপাদন কমায় স্পিনিং মিল মালিকরা সুতার দাম বাড়িয়েছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি বেড়েছে ১০-২০ টাকা।
স্থানীয় তাঁতি লোকমান হোসেন বলেন, চার-পাঁচ মাস ধরে সুতার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ৪০, ৫০ কাউন্টের সুতার দাম বেড়েছে পাউন্ডপ্রতি ১০০-১২০ টাকা। এত চড়া দামে সুতা কিনে কাপড় উৎপাদন করে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।