বিহারের বিক্ষোভে পুলিশের গুলি-সংঘর্ষ, আহত ১৩
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তরপ্রদেশের মতো তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিহার রাজ্যেও। বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) ডাকা বনধ্ এর সমর্থনে সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতে শুরু করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে অন্তত ১৩ জন আহত হন।
কলকাতার একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারের রাজধানী পাটনায় শনিবার বিকেলের দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাজ্যজুড়ে তার প্রভাব পড়ে। পাটনায় সকাল থেকেই বনধ সমর্থনকারী আরজেডি ও কংগ্রেস পথে নামে। সংশোধিত নাগরিক আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্থান অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
পাটনায় বিক্ষোভের আগে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জি নিয়ে এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমি তেজস্বী। আমি হিন্দু। আমি ভারতীয়। আমি সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে চাই। আমি ভারতের মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি গরিব ও কৃষকদের পক্ষে। #নো টু এনআরসি, #নো টু সিএএ।’
বনধের কারণে শনিবার সকাল থেকে বিহারের উত্তর অংশের সর্বত্র ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে বনধ্ পালনকারীরা আইন বাতিলের জন্য বিশাল জমায়েত করে। এদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও এনআরসি বিরোধিতায় সরব হলে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ শিবিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় এদিন।
বেলা গড়াতেই বনধ্ সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হতে থাকে। পাটনার পাশে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ প্রবল আকার নিলে ভিড়ের মধ্যেই কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে সংঘর্ষ বাধে, তাতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। ছুরিকাঘাতে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাটনার পর বিহারের অন্যত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় আসাম ও ত্রিপুরার পর একের পর এক রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে। উত্তরপ্রদেশে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার পর দুদিনে ১৫ নিহত হয়।