বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুতি ৩৫ বিলিয়ন ডলার

স্টাফ রিপোর্টার

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রায় ৫০ বছরের এই সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে দেশে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পে।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ এবং রেয়াতি ক্রেডিট আকারে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ঋণে দেশে ৫১টি প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিয়েছে ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশে অর্থায়নের শীর্ষে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগীও। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।

এদিকে, এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টইউগ শ্যাফার। সফরকালে তিনি কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি। এজন্য বাংলাদেশকে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে হবে। আর এর ফলে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার জন্য সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপে বিশ্বব্যাংক পাশে থাকবে।

কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সাম্প্রতিক কপ-২৬ সভায় প্রধানমন্ত্রী যে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাও উল্লেখ করেন শ্যাফার। তিনি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যাফার বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, একটি অনুপ্রেরণামূলক উন্নয়ন সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। সেজন্য বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিটি পদক্ষেপে থাকবে যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও উন্নয়নমূলক ও অন্তর্ভুক্তমূলক হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং অর্থনীতির ধারাবাহিকতা লক্ষণীয়। কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপগুলো কোভিডকে প্রতিহত করে বর্তমানে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্যাফার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *