বিশেষ বন্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
সরকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সারসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করেছে সরকার। ‘স্পেশাল বন্ডের’ মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব বন্ড প্রাইমারি ডিলার ব্যাংকের হেল্ড ফর ট্রেডিং সিকিউরিটিজের বাইরে থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বা ডিওএস বিভাগ থেকে এ ধরনের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার আর্থিক সংকটে পড়লে বিভিন্ন বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়। বন্ডগুলো ব্যাংকগুলো বিধিবদ্ধ তরল স্থিতি বা এসএলআর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে ট্রেডিংয়ের জন্য ব্যাংকগুলোর বন্ড ধারণের নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্পেশাল বন্ডকে ট্রেডিং সীমা ২৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। এতে প্রাইমারি ডিলার ব্যাংকগুলো স্পেশাল বন্ডে অতিরিক্ত বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। নন প্রাইমারি ডিলার ব্যাংকের পোর্টফোলিও সীমার বাইরে স্পেশাল বন্ডকে রাখায় ব্যাংকগুলো এই বন্ডে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করতে পারবে।
চলতি মাস থেকে সরকার বিশেষ বন্ড ছাড়া শুরু করেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সারসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে এ উদ্যোগ। সার কেনা বাবদ প্রথম ছাড়া হয় ৩ হাজার ১৬ কোটি টাকার বন্ড। যার মধ্যে সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে রয়েছে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকা। একইভাবে বিদ্যুতের দেনা পরিশোধেও বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে চলতি মাসেই। যার মধ্যে সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি, পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ এবং ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকার বন্ড ছাড়া হয়। বিদ্যুতের দেনা শোধে এ পর্যন্ত বন্ড ছাড়া হয়েছে মোট ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার।
সর্বশেষ বিদ্যুতের দেনা পরিশোধে বেসরকারি ইস্টার্ন (ইবিএল) ব্যাংকের অনুকূলে আরও ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছেড়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যাংকের অনুকূলে যে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়া হবে, তার মধ্যে সার ও বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মতো ছাড়া হয়েছে।