বিবিয়ানায় গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হতে লাগবে সময়

স্টাফ রিপোর্টার

এশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানার ছয়টি কূপে সাময়িক গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের জাতীয় গ্রিডে কমে গেছে গ্যাস সরবরাহ। সারাদেশে দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। এই সমস্যার সমাধান কখন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ।

তবে গ্যাসক্ষেত্রে নিয়োজিত শেভরন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, মঙ্গলবার থেকে তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হতে পারে। আর বাকি তিন কূপ স্বাভাবিক হতে লাগবে আরও কিছু সময়। ফলে সহসাই কাটছে না গ্যাস সংকট।

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য বছরের বিভিন্ন সময় কূপের সঞ্চালন লাইনে মেরামত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে ছয়টি কূপে শুরু হয় মেরামতের কাজ। এতে প্রায় কয়েক কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত এ কাজ শেষ না হলে দেশে গ্যাস সংকট আরও প্রকট হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এ বিষয়ে শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, বিবিয়ানায় মোট ২৬টি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি কূপের পাইপলাইনে জমেছে ময়লা। এটি এখন মেরামতের কাজ চলছে। মঙ্গলবার তিনটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি তিন কূপে গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগতে পারে।

এদিকে পেট্রোবাংলা বলছে, বিবিয়ানার ছয়টি কূপ থেকে রোববার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করে। এর কারণে বন্ধ করে দিতে হয় উৎপাদন। এতে রাতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরন। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ৪০ শতাংশের বেশি আসে এই ক্ষেত্র থেকে। প্রতিদিন এখানে গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *