বিদেশী বিনিয়োগের সীমা তুলে নিচ্ছে জাপান
স্থানীয় নতুন উদ্যোগ বা স্টার্টআপগুলোর প্রতি মনোযোগ বাড়িয়েছে জাপান সরকার। এ খাতে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়েও নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। স্টার্টআপে বিনিয়োগ বাড়াতে অভ্যন্তরীণ উদ্যোগ তহবিল ব্যবহার করতে এবং বিদেশী বিনিয়োগের ওপর থাকা বিধিনিষেধও তুলে নিতে চায় দেশটির সরকার।
১০০ কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য তৈরি হয়েছে এমন স্টার্টআপগুলোকে বলা হয় ইউনিকর্ন। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে স্টার্টআপ খাতের ইউনিকর্ন হিসেবে পরিচিত ৬০০ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর সম্পদ ১০০ কোটির বেশি। এছাড়া চীন ও ইউরোপে ইউনিকর্নের সংখ্যা শতাধিক। তবে জাপানে এ সংখ্যা কেবল ছয়টি। অর্থাৎ অন্য বড় অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় আশঙ্কাজনক হারে পিছিয়ে রয়েছে জাপান। আর সে কারণেই স্টার্টআপে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি জোর দিচ্ছে জাপান সরকার।
জাপানের অভ্যন্তরীণ স্টার্টআপগুলোকে এখন বিদেশী কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব পোর্টফোলিও হোল্ডিংসের ৫০ শতাংশের কম বিনিয়োগ করতে হয়। এ নিয়ম তুলে নেয়ার ফলে বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে আর কোনো বিধিনিষেধ থাকল না। ফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ নিয়মের ফলে জাপানে বিদেশী বিনিয়োগের অর্থের প্রবাহ বাড়বে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থ সরবরাহ করা সহজ হবে। এছাড়া এটি অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করেও তহবিল সংগ্রহের উপযুক্ত। বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় জাপানি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড তাদের বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেশের সীমানার বাইরে নিয়ে যেতে পারবে। ফলে স্থানীয় বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে। আদতে যা দেশটির স্টার্টআপগুলোর জন্য লাভজনক হবে।
২০২৪ সালে জাপান সরকার দেশটির সংসদে সীমিত অংশীদারত্ব পরিচালনাকারী খসড়া আইনের সংশোধনী উত্থাপন করবে। এর আগে ১৯৯৮ সাল থেকে বিদেশী কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগে সীমারেখা টেনে দেয়া আইনটি জাপানে কার্যকর হয়।
২০২৭ অর্থবছরের মধ্যে স্টার্টআপে বার্ষিক বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন করতে চায় জাপান। সে লক্ষ্যমাত্রা ধরেই কাজ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ লক্ষ্যমাত্রা বর্তমান সময়ের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।