বিএনপির মনোনয়ন বিক্রি শুরু বৃহস্পতিবার
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বৃহস্পতিবার দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে বিএনপি। সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে ফরম জমা দিতে হবে। ২৮ ডিসেম্বর দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড মিটিং করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্কাইপে যুক্ত ছিলেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
ফখরুল বলেন, কাউন্সিল পদে যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না তাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর বিষয়টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে থাকবে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আমরা অংশ নেবো। তবে নির্বাচনের পরিবেশ ওপর নির্ভর করবে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঢাকা সিটির নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো। এর পেছনে নির্বাচন কমিশনের যে মূল উদ্দেশ্য থাকে, সেটাই আছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তারা সরকারি দলকে জয়ী করার জন্য তড়িঘড়ি করে তফসিল দিয়েছে।’
ইভিএমে সিটি নির্বাচনের বিরোধিতা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ নির্বাচন কমিশন বলেছেন যে, পুরো নির্বাচনটা ইভিএমে হবে। এটা অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং আমরা এই সিদ্ধান্তে নিন্দা জানাচ্ছি।আমরা বলতে চাই- ইভিএমে যথেষ্ট সুযোগ থাকবে ভোটের ফলাফলকে মেনুপুলেট করার, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার। সেজন্য আমরা এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছি।’
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তার বিচার ও জামিনের বিষয়ে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি প্রদানে সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতিটি দিয়েছে। এজন্য সংস্থাটিকে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শুধু দেশে নয়, এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সরকার যে নাটক করছেন, তাকে প্রোপার ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন, তাকে তার প্রাপ্য যে জামিন সেই জামিন দিচ্ছেন না- তারা কনসার্ন(উদ্বিগ্ন) হয়ে উঠছেন এবং তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।