বাড়তে শুরু করেছে মালয় পাম অয়েলের দাম
ফিউচার মার্কেটে অব্যাহত কমছিল মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। তবে সম্প্রতি পণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। মূলত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাজার আদর্শটির দাম বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত সরবরাহ ও দুর্বল চাহিদার কারণে পণ্যটির মাসভিত্তিক দাম কমেছে।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের ডিসেম্বর সরবরাহ চুক্তির দাম ২ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৪১৮ রিঙ্গিত বা ৭৩৭ ডলার ৪৩ সেন্টে। যদিও চলতি সপ্তাহে পণ্যটির দাম ৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। আর চলতি মাসে কমেছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি মাসভিত্তিক সর্বোচ্চ দরপতন।
কুয়ালালামপুরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণেই পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে একদিনের ব্যবধানে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেলের দাম দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এক্সচেঞ্জটিতে পাম অয়েলের দাম দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে।
পাম অয়েল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ মালয়েশিয়া। আগস্টে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ টনে। এর মধ্য দিয়ে উৎপাদন ১০ মাসের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে। গত মাসেও উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক পাম অয়েল অ্যানালিটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সাথিয়া ভারকা বলেন, মৌসুমে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় আগস্টে। এ সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মাটির আর্দ্রতা ও উর্বরতা বাড়ে, যা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এদিকে আগস্টে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি কমেছে। এ সময় দেশটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১৪ শতাংশ কম। বিশ্লেষকরা জানান, সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিজনিত প্রতিযোগিতা বেড়েছে। এ কারণে রফতানিতে পিছিয়ে পড়েছে মালয়েশিয়া। তবে গত মাসে দেশটির রফতানি ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান ১০ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্যও জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষার তথ্য বলছে, আগস্টে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মজুদ ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ মজুদ।