বাড়তি চিনি উৎপাদনের পূর্বাভাস ইইউর

আগামী ২০১৯-২০ মৌসুমে চিনি উৎপাদনের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি)। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসছে মৌসুমে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় চিনির সম্মিলিত উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার।

চিনি উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান তৃতীয়। ইসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। আর আগামী ২০১৯-২০ মৌসুমে এসব দেশে চিনির সম্মিলিত উৎপাদন আরো বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৮৩ লাখ টনে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় চিনির সম্মিলিত উৎপাদন বাড়তে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

এর আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় সব মিলিয়ে ২ কোটি ১৩ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। ইইউর ইতিহাসে এটাই ছিল চিনি উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। অর্থাৎ চলতি মৌসুমে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় চিনি উৎপাদন সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমে আসতে পারে ৩৭ লাখ টন। আর আগামী মৌসুমে এসব দেশে পণ্যটির উৎপাদন সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমতে পারে ৩০ লাখ টন।

এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় সব মিলিয়ে ১ কোটি ৯৫ লাখ ২৫ হাজার টন চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *