বালিতে আবাসন প্রকল্প বাড়ছে
কভিড-পরবর্তী পর্যটন খাত চাঙ্গায় বালিতে আবাসন প্রকল্প বাড়ছে। বিশেষ করে হোটেল, রিসোর্ট ও দীর্ঘস্থায়ী আবাসনের চাহিদা বেড়েছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।
মহামারী চলাকালীন দীর্ঘ ১৮ মাস দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ সত্ত্বেও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বালি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রিপ্যাডভাইজারের তালিকায় ২০২১ সালে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে শীর্ষে রয়েছে বালি।
গবেষণা সংস্থা এসটিআর এবং এয়ারডিএনএর যৌথ সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার কারণে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজনীয়তা বজায় রাখার কারণে বর্তমানে মানুষ হোটেল বা রেন্ট হাউজ নেয়ার চেয়ে বিস্তৃত ও খোলা জায়গাতেই থাকতে আগ্রহী।
তারা আরো জানায়, মহামারীর সময় পর্যটকদের অবস্থানকাল ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।
বালির পিবিএম আর্কিটেক্টস রিচার্ড মেনসার বলেন, মহামারী-পরবর্তী বিশ্বে হোটেল কক্ষগুলো আকর্ষণীয় পণ্য হবে—এমন আশা কেউ করছে না। তিনি আরো বলেন, আমার ধারণা অনেক বিনিয়োগকারী এখন ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে।
সম্প্রতি ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে ফিনস লাইফস্টাইল ভিলেজের নির্মাণকাজ শুরু করে মেনজার নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। বালির পশ্চিম উপকূলে ৪০ হাজার বর্গকিলোমিটারের প্রকল্পটি শেষ হতে আনুমানিক দুই বছর লাগবে। ২০৬টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, ওয়াটারস্লাইড, শপিং সেন্টার, মেডিকেল সেন্টার, পার্ক ও হেলিপ্যাডসহ অন্য সব আধুনিক সুবিধা থাকবে এতে।
চারতলা বেশ কয়েকটি ভবন নিয়ে চালু হচ্ছে দ্য তামোরা নামে আরেকটি প্রকল্প। বিস্তৃত সবুজের মাঝে, সমুদ্র সামনে রেখে ১২৬টি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হচ্ছে এ প্রকল্পে। প্রতিটি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।