বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়

স্টাফ রিপোর্টার

পুরো ম্যাচে গোল হলো সাতটি। শুরুতে বার্সার জোড়া গোল। প্রথমার্ধেই ভিয়ারিয়ালের সমতা ফেরানো এবং দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়া। শেষদিকে আবারও জোড়া গোল করে কাতালানদের জয় উৎসব। এমন রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখলো বার্সেলোনা।

শুরু থেকে জমে ওঠা ম্যাচে প্রথম গোল আসে ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে। গোলের উৎস তরুণ ইয়ামাল। কর্নারের পর বল পেয়ে লেভানডোভস্কিকে লক্ষ্য করে ক্রস বাড়ান স্প্যানিশ কিশোর। তবে পোলিশ স্ট্রাইকারের বদলে দুর্দান্ত হেডে জাল খুঁজে নেন একটু সামনে থাকা গাভি।

তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি ইয়ং। ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে শট নেওয়ার জন্য জায়গা খুঁজছিলেন লেভানডোভস্কি। তাকে ঠেকাতে গিয়ে হিতে বিপরীত করে ফেলেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার আলফন্সো পেদরাসা। তিনি বল দিয়ে বসেন ফাঁকায় থাকা ডি ইয়ংকে। ব্যস, পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে অনায়াসে ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ মিডফিল্ডার।

২৬তম মিনিটে এক গোল শোধ করে ভিয়ারিয়াল। পেদরাসার দারুণ শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিলেও কর্নার থেকে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ফয়থ। ৪০তম মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। পেদরাসার নিচু ক্রস পেয়ে ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল করেন আলেক্সজান্ডার সরলথ।

দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার বুকে কাঁপন ধরিয়ে এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। ৫০ মিনিটের মাথায় পেদরাসার বাড়ানো বল ধরে বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন আলেক্স বায়েনা। গোল খেয়েও প্রবল আক্রমণ করতে থাকে বার্সা। অবশেষে ৬৮তম মিনিটে সমতা ফেরায় জাভির দল।

বদলি হিসেবে নামা ফেরান তোরেসের শট ব্লকড হলেও ফিরতি বলে ডান পায়ের শটে ব্যবধান ৩-৩ করেন স্প্যানিশ উইঙ্গার। চার মিনিট পর এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের শট গোলরক্ষরের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লাগলে পেয়ে যান লেভানডোভস্কি। ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে চলতি আসরে নিজের প্রথম ও বার্সাকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার।

এই জয়ে ৩ ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে দুই নম্বরে আছে জিরোনা। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *