বাবরের সেঞ্চুরির রেকর্ড, বড় লক্ষ তাড়া করে জিতল পাকিস্তান

স্টাফ রিপোর্টার

ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। অবলীলায় হাঁকাচ্ছেন একের পর এক সেঞ্চুরি। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।

বাবরের সেঞ্চুরির সঙ্গে ইমাম উল হক, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটি ও খুশদিল শাহর শেষের ঝড়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করেই জিতেছে পাকিস্তান। মুলতানে শাই হোপের সেঞ্চুরিতে ৩০৫ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই জিতে গেছে স্বাগতিকরা।

শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে বাবরের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৮ রান দিয়ে। মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচে করেছিলেন ৫৭, ১১৪ ও ১০৫* রান। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এলো ১০৭ বলে ৯ চারের মারে ১০৩ রান।

সবমিলিয়ে দেশের মাটিতে দশম ওয়ানডেতে বাবরের এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। নিজের দেশের মাটিতে খেলা যে তার বিশেষ পছন্দের- এটিই প্রমাণ। এছাড়া দেশে খেলা বাকি পাঁচ ওয়ানডের তিনটিতেও পঞ্চাশের ঘর পেরিয়েছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

বাবরের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার দিন প্রথমে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন মুলতানের ঘরের ছেলে ইমাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে সহজেই ফিফটি ছুঁয়ে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান থার্ড ম্যানে। তার সমাপ্তি ঘটে ৭১ বলে ৬৫ রান করে।

ইনিংসের ৪৫তম ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬১ বলে ৫৯) যখন ফিরে যান, তখনও প্রয়োজন ছিল ৩২ বলে ৫০ রান। যা শেষ দুই ওভারে নেমে আসে ১২ বলে ২১ রানে। রোমারিও শেফার্ডের করা ৪৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে ম্যাচ পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে নেন খুশদিল।

শেষ পর্যন্ত একটি চার ও চারটি ছক্কার মারে ২৩ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন খুশফিল। তাকেই দেওয়া হয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। খুশদিলের শেষের ঝড়েই নবমবারের মতো ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জিতলো পাকিস্তান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ধারণামতোই ব্যাট করেছে তারা। সাই হোপের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও সামারাহ ব্রুকসের দারুণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১২৭ রান করেন সাই হোপ এবং ৭০ রান করেছেন সামারাহ ব্রুকস। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ নেন ৪ উইকেট এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ২ উইকটে। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ এবং শাদাব খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *