বাজার স্বাভাবিক রাখতে আরও ৯৬ মিলিয়ন ডলার সাপোর্ট
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ডলার সংকট তৈরি হয়েছে। এ সংকট প্রতিনিয়ত আরও ঘনিভূত হচ্ছে। সংকটের কারণে এ মুহূর্তে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশ। খোলা বাজারের ডলার ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
তবে মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত সাত বিলিয়ন ডলার সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারও (২৭ জুলাই) ব্যাংকগুলোর কাছে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলার রাখা হয়েছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে।
এদিকে, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করায় দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৪৯ কোটি (৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন) ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রার এ রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯৪ টাকার মধ্যে। তবে এখনও চড়াই রয়েছে খোলা বাজারে। বুধবার ১১১ টাকা থেকে ১১২ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও আজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে। অর্থাৎ খোলাবাজারে ডলারের দাম এক টাকা কমেছে।
ডলার সংকট নিয়ে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মাধ্যমেই ডলারের মূল চাহিদা পূরণ হবে। ডলারের দাম নিয়ে নানান উদ্যোগ নিলেও কাজ হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করতে হবে, কাজ হবে। এগুলো কারা করছে, সেখানে কী উদ্যেশ্য আছে- জানি না। এখন কী অব্যবস্থাপনা ছিল সেগুলো আমরা দেখছি।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এগুলো যাতে আর না হয় সেগুলো দেখছি। মার্কেটে ডিমান্ডের ওপর ভিত্তি করে সাপ্লাই দিতে হবে, এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। এগুলো যদি আর্টিফিসিয়াল পর্যায়ে নিয়ে যায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। এগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন মেশিনারিজ আছে সেগুলো কার্যকর হবে। আর সেগুলো কার্যকর হলেই কমে আসবে।