বাইডেন-পুতিন ফোনালাপ

স্টাফ রিপোর্টার

যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। এ অবস্থায় ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন ছাড়তে বলা হয়েছে মার্কিন মিত্র অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ক্রমেই বেড়ে চলা উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে বিষয়টি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে টেলিফোন সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলার জন্য আগামীকাল বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হওয়ায় গতকালই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, গতকাল ইস্টার্ন টাইম অনুযায়ী বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়) ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে বসতে রাজি হন পুতিন।

এদিকে পোল্যান্ডে তিন হাজার সেনা পাঠাচ্ছে পেন্টাগন। এরই মধ্যে সেখানে পাঠানো ১ হাজার ৭০০ সেনার সঙ্গে যুক্ত হবে তারা। ন্যাটো মিত্রদের প্রতি পেন্টাগনের অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে নতুন ৩ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। পুরো ইউরোপে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা স্থায়ী ও রোটেশনের ভিত্তিতে সেখানে দায়িত্ব পালন করছে।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ পরিকল্পনার বর্ণনা দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের দেশত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, বিমান হামলার মধ্য দিয়ে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বেসামরিক জনগণের জীবন হুমকির মুখে পড়বে এবং তাদের জন্য ইউক্রেন ত্যাগ করাও কঠিন হয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কানাডা, হল্যান্ড, লাটভিয়া, জাপান, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ত্যাগ করার তাগিদ দিয়েছে। সর্বশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। দূতাবাস কর্মীদের স্বজনদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলও।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, রুশ সেনারা এখন যেকোনো সময় বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার মতো অবস্থানে নিয়োজিত রয়েছে। আমরা জানি না, ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে। এখন যুদ্ধের আশঙ্কা এতটাই কাছে চলে এসেছে ইউক্রেন ত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছিলেন, মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করলে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে তিনি সৈন্য পাঠাবেন না।

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্যের সংখ্যাবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সতর্ক করে বলেছিলেন, যেকোনো সময়, আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে, অলিম্পিক শেষ হওয়ার আগেই আক্রমণ করে বসতে পারে মস্কো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *