বর উদ্ধার, সন্ধান মেলেনি কনের

রাজশাহী অঞ্চলের পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বর রুমন আলীকে (২৬) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও উদ্ধার করা যায়নি কনে সুইটি খাতুনকে (২০)।

এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৭ জনকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ২০ জন।

এদের মধ্যে দুই শিশু মারা গেছে। নিহতরা হলো- কনে সুইটির মামাতো বোন রোশনি (৭) ও রতনের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৮)। অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নৌকাডুবিতে জীবিত উদ্ধারকৃতরা হলেন- রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), নৌকার মাঝি খাদিমুল ইসলাম (২৮), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)।

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। কিন্তু এখনো দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা দু’টির অবস্থান জানা যায়নি। তাছাড়া অন্ধকারে উদ্ধারকাজ চালাতেও বেগ পেতে হচ্ছে। তবুও
উদ্ধারকাজ চলছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও পবা মোহনপুর সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীন এবং জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পদ্মার ওপারের জেলার পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলে রুমন আলীর সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুনের বিয়ে হয়।

শুক্রবার (৬ মার্চ) বরের বাড়ি থেকে বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে দুই নৌকার সংঘর্ষে ডুবে যায় নৌকাগুলো। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কনেসহ অন্তত ২০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *