প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি আয় বাড়লো ৩৪ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও এখন বাড়ছে দেশীয় প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিশ্ববাজারে প্লাস্টিক পণ্য সরবরাহ করে বাংলাদেশ রপ্তানি আয় করেছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে জুলাই-মার্চ অর্থাৎ ১০ মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ। একই সময়ে প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি আয়ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। এই ১০ মাসে প্লাস্টিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ খাতে চলতি অর্থবছর ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

চলতি অর্থবছর ২১ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পিভিসি ব্যাগ, ১৯ কোটি ডলারের প্লাস্টিক বর্জ্য ও ৮৭ কোটি ডলারের প্লাস্টিকের অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘অনেক নতুন পণ্য আমরা বাজারে নিয়ে এসেছি। পণ্য বহুমুখীকরণ করে নতুন কাস্টমারের কাছে গেছি। কিছু পণ্যের বাজারও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্লাস্টিকের প্রবৃদ্ধি এবার ভালো।’

বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ বিশ্বের ২৩টি দেশে সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য। চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যে ঝুঁকছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে।’

এদিকে বিপিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে পণ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে পোশাকখাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম, খেলনাসামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল, ঘরে ব্যবহার্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটব, জগ, মগ, অফিসে ব্যবহার্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম।

কৃষিখাতের জন্য পাইপ, সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট, মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য দেশে তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *