প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের নতুন রেকর্ড
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারি মাসে ইসলামী ব্যাংকের আহরিত রেমিট্যান্স দেশে আহরিত মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ আর ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে এ পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি।
মাস জুড়ে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই রেমিট্যান্স ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। গত মাসেও বরাবরের মতো প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ফলে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে দেশে প্রবাসী আয় এনে একমাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী রেমিট্যান্স আহরণের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এ ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রবাসী আয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে নিজস্ব আমদানি ব্যায় পরিশোধের পর এ পর্যন্ত সরকারি রিজার্ভে ১২.৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগ করে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে। ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসী সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশি-বিদেশি নানান পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসীদের সেবায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। বর্তমানে ব্যাংকের ২৯ জন প্রতিনিধি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, জর্ডান ও সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বিশ্বের ৬৪টি দেশের ৫৯৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়কে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনয়নের জন্য ২১ দেশের ১৫৫টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি রয়েছে যার মাধ্যমে ২০০ এর অধিক দেশ থেকে রেমিট্যান্স বেনিফিসিয়ারির হিসাবে অর্থ জমা হয়।
প্রবাসীদের স্বজনদের হাতে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পৌঁছে দিতে ইসলামী ব্যাংকের নিবেদিত কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা রেমিট্যান্স সেবা প্রদানের কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা, ২৪৯টি উপ-শাখা, ২৭৭৩টি এজেন্ট ব্যাংক ও ২৯৯৪টি এটিএম/সিআরএম-এর সমন্বয়ে গঠিত দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেনিফেসিয়ারিরা তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্সের টাকা সংগ্রহ করতে পারেন।
২০২৩ সালে এককভাবে ইসলামী ব্যাংক ৫ বিলিয়ন ডলার সম-মূল্যের প্রবাসী রেমিট্যান্স আহরণ করে যা দেশের মোট রেমিট্যান্সের ২৩ শতাংশ।