প্রতিপক্ষের জালে ইতালির ৯ গোল

আগেই নিশ্চিত হয়েছিল ইউরো-২০২০ সালের আসরে ইতালির অংশগ্রহণ। নিশ্চিত ছিলো ‘জে’ গ্রুপে তাদের শীর্ষস্থানও। তবু যেনো তৃপ্তি পাচ্ছিল না রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। তাই তো বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার জালে রীতিমতো গোল উৎসব করেছেন জর্জিনহো, ইম্মোবিলরা।

নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ৯-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে ইতালি। যা কি না ১৯৪৮ সালের পর ইতালির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। আর এ জয়ের ফলে বাছাইপর্বে পুরো দশে দশ পেলো চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অর্থাৎ বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচে সবকয়টি জিতেছে তারা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে চারটি গোল করে ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে হয় বাকি পাঁচটি। টানা ৮টি গোল হজম করার পর এক গোল করেন আর্মেনিয়ার এডগার বাবায়ান। ম্যাচের সবচেয়ে পাগলাটে সময় ছিলো ৭২ থেকে ৮১ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট সময়। এরই মাঝে দুই দল মিলে করে পুরো ম্যাচের অর্ধেক তথা ৫টি গোল।

প্রথম গোলটি পেতে মাত্র ৮ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ইতালিয়ানদের। সিরো ইম্মোবিলের গোলে উৎসবের শুরু হয় ইতালির। পরের মিনিটে ইম্মোবিলের পাস ধরেই দ্বিতীয় গোল করেন নিকোলো জানিয়োলো। তৃতীয় গোলটি আসে নিকোলো ব্যারেলার মাধ্যমে, ২৯ মিনিটে। আর ৩৩ মিনিটের সময় নিজের দ্বিতীয় ও প্রথমার্ধের শেষ গোল করেন ইম্মোবিল।

বিরতি থেকে ৬৪ মিনিটে ফের শুরু হয় ইতালির গোল উৎসব। এবার দ্বিতীয় গোল করেন জানিয়োলো। আর এরপর ৭২ মিনিটে শুরু হয় সেই পাগলাটে ১০ মিনিট। প্রথমে ৭২ মিনিটে গোল করেন অ্যালেসিও রোমাগনোলি। তিন মিনিট পর পেনাল্টি গোল করেন জর্জিনহো। এর দুই মিনিট পর স্কোরশিটে নাম তোলেন রিকার্ডো অরসোলোনি।

টানা ৮ গোল হজম করার পর ৭৯ মিনিটে খানিক আনন্দের উপলক্ষ্য পায় আর্মেনিয়া। তাদের হয়ে এক গোল শোধ করেন বাবায়ান। তবে ৮১ মিনিটে আবারও গোল করে আর্মেনিয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ থাকতে দেননি ফ্রেডরিখ চিয়েসা। ইতালি পায় ৯-১ গোলের বিশাল জয়।

সবমিলিয়ে বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে অপরাজিত থেকেই ইউরোর মূল পর্ব নিশ্চিত করে ইতালি। এ দশ ম্যাচে তারা গোল করেছে ৩৭টি, হজম করেছে মাত্র ৪টি। তাদের গ্রুপ থেকে ইউরোর টিকিট পাওয়া অন্য দল হলো গ্রিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *