পোশাকশিল্পে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৫৩ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গিয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতি। বন্ধ থাকে অফিস-কারখানা। এর ধাক্কা লাগে দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগ নেতৃত্ব দেওয়া পোশাকশিল্পে। মহামারির শুরুর দিকে বন্ধ হয়ে যায় রপ্তানি আদেশ। তবে কিছুদিন পর থেকেই ফের আসতে থাকে অর্ডার। এর ফলে এক বছরের ব্যবধানে এ খাতের রপ্তানিতে প্রায় ৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২১ সালের একই (ডিসেম্বর) মাসে পোশাকশিল্প রপ্তানিতে ৫২.৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে ২০১৯-এর ডিসেম্বরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৩৮ শতাংশ।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৪.০৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১) রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯০ বিলিয়ন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮.০২ শতাংশ বেশি।

পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ৫৬.৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অন্যদিকে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ৪৮.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সব পণ্যের রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাত্ত অনুযায়ী যদিও পোশাক খাতের রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে, তবে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিভিন্ন কাঁচামালের মূল্য ও পণ্য উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির অনুপাতে পোশাকের দাম সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাড়ছে না। আর রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে আবারও লেগেছে করোনার ধাক্কা।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের পোশাক রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। কোভিডের সংক্রমণ রোধে ও নিজেদের রক্ষার্থে দেশগুলো বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর ফলে পোশাকের নতুন ও চলমান রপ্তানি আদেশের উপর প্রভাব পড়ছে।

বিজিএমইএ’র এ পরিচালক আরও বলেন, নতুন বছর (২০২২) একটি অনিশ্চয়তার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে। গত কয়েক মাসের উপাত্ত পর্যালোচনায় শিল্পের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা প্রতীয়মান। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতের বাজারের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন, যেহেতু বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এখনো নড়বড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *