পেঁয়াজের দাম ফের বাড়ল

প্রতি বছর রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। বাড়তি চাহিদার চাপ সামলাতে রোজা শুরুর আগেই আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি বাড়িয়ে দেন। তবে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

রোজা শুরুর আগে উল্টো আমদানি কমেছে পেঁয়াজের। এর জের ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৩ টাকা বেড়ে গেছে।

তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, আসছে রোজায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে।

গতকাল হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে ভারতের নাসিক ও ইন্দোর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হতে দেখা যায়। বাজারে আমদানি করা সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের চাহিদাও বেশি রয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) ইন্দোর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বর্তমানে কেজিপ্রতি ১০-১১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩-১৪ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এখানকার বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১০-১১ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে।

পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। গতকাল স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৩ টাকা বেড়ে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম ৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ২৫ টাকায়।

পেঁয়াজের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভারত থেকে আমদানি কমে আসাকে চিহ্নিত করেন হিলির ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। স্থলবন্দর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আগে এর পরিমাণ ছিল প্রতিদিন ৩৫-৪০ ট্রাক।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ হারুন বণিক বার্তাকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তির দিকে ছিল। তখন পণ্যটির দামও কমে আসে।

এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য লোকসানের ঝুঁকি এড়াতে দেশীয় আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। এখন দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কমে এসেছে। এ কারণে পেঁয়াজের দামও আগের তুলনায় খানিকটা বেড়ে গেছে।

তবে রোজায় বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে চলতি মাসের বাকি দিনগুলোয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো হবে। তখন পণ্যটির দামও কমে আসবে। তাই এবারের রোজায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যেই থাকতে পারে বলে দাবি করছেন হিলির আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *