পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত

স্টাফ রিপোর্টার

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ মার্চ) এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের চাহিদা পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ন্যূনতম দর বেঁধে দেওয়া এবং সরাসরি নিষেধাজ্ঞাসহ প্রায় পাঁচ মাসের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ভারত বলছে, সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত মূল্য তুলে নেয় ভারত। ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার সারঙ্গি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বিষয়টি সে দেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে ভারত। সে সময় অভ্যন্তরীণ ঘাটতির আশঙ্কায় পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত।

সে সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগেই পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরেও রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারতের কৃষকরা এর সুবিধা পাচ্ছিলেন না। ফলে তারা আন্দোলনে নামেন।

কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে এবং লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৪ মে পেঁয়াজ রপ্তানি ক্যাটাগরি নিষিদ্ধ থেকে অবাধ করে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক এবং প্রতিটনের ন্যূনতম মূল্য ৫৫০ ডলার ধার্য করা হয় এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর ছিল। মহারাষ্ট্রের বিধানসভার ভোট সামনে রেখে ১৩ সেপ্টেম্বর রপ্তানি শুল্ক নামানো হয় ২০ শতাংশে। তবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে তা প্রত্যাহার হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *