পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার

পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতেই কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথা বলেন ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনাল হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসকে ডা. মোগল জান রহমান মিঠু, ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের সবসময় করা উচিত। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইন-কানুন, বিধি-বিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা আরও বাড়ানো জরুরি। এমন যেন না হয় একটি অনুষ্ঠান করে তিন মাস আর হলো না। এ বিষয়গুলো নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে সাংবাদিকদের লেখনির দক্ষতা তত বাড়বে। সমস্যাগুলো আরও বেশি উপস্থাপিত হবে, যা আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজার একটি মূলধনী বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার কাজ করছে, আমি মনেকরি সবগুলো স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিএমজেএফ সদস্যদের মাধ্যমে যেসব তথ্য পুঁজিবাজার উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

পরবর্তীতে কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সময় তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।

স্বাগত বক্তব্যে সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায় তখন বাজার তার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোরপ্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। কিন্ত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ফ্লোরপ্রাইস দিতে হয়নি, শ্রীলঙ্কা যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিকরা যদি এসব কারসাজি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং লেখনির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে পুঁজিবাজারে রেগুলেটর, ডিএসইর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যদি কোনো ঘাটতি থাকে সেটি দূর করা সম্ভব হবে।

এসকে মোগল জান রহমান মিঠু বলেন, সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের একটি আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। পাশাপাশি কুয়াকাটার সৌন্দর্য লেখনির মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন ও বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *