পাম অয়েল তিন লাখ টনের রফতানি ছাড়পত্র দিল ইন্দোনেশিয়া

স্টাফ রিপোর্টার

ইন্দোনেশিয়া প্রায় ৩ লাখ ২ হাজার টন পাম অয়েলের রফতানি ছাড়পত্র ইস্যু করেছে। রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এসব পাম অয়েলের ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়। সরকার ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া আরো গতিশীল করার নিশ্চয়তা দিয়েছে কৃষক ও রফতানিকারকদের। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক দেশ। রফতানিতেও নেতৃস্থানীয় এ দেশ। কিন্তু চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল দেশটি পাম অয়েল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। উদ্দেশ্য স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়ানো ও আকাশচুম্বী দাম নিয়ন্ত্রণ।

দেশটির সরকার গত ২৩ মে রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। কিন্তু স্থানীয় বাজারে সরবরাহ সুরক্ষায় কিছু বিধান আরোপ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ডমিস্টিক মার্কেট অবলিগেশন (ডিএমও)। এ নীতির অধীনে উৎপাদকদের বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাম অয়েল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হবে। এর পরই তারা রফতানির অনুমতি পাবেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মালয়েশিয়ায় উৎপাদন কম। এরই মধ্যে সরকারি নীতিমালার কারণে রফতানি ছাড়পত্র প্রদানে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এতে পাম অয়েলের বৈশ্বিক দাম বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্দোনেশিয়া সাধারণত প্রতি মাসে পায় ২৫ লাখ টন পাম অয়েল পণ্য রফতানি করে। কিন্তু সরকারি ডিএমও নীতিমালার কারণে দেশটির কোম্পানিগুলোকে তিন লাখ টন পাম অয়েল স্থানীয় বাজারে বাধ্যতামূলক বিক্রি করতে হবে।

২০২২-২৩ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় স্বল্পমাত্রায় পাম অয়েল উৎপাদন বাড়তে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। ইউএসডিএর কর্মকর্তারা জানান, পাম অয়েল উৎপাদন ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪ কোটি ৬০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে অনুকূল আবহাওয়া।

অন্যদিকে ২০২১-২২ মৌসুমের জন্য উৎপাদন পূর্বাভাস ১০ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টনে। ২০২১-২২ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়া ২ কোটি ৯০ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি করবে। আগের বছরের তুলনায় রফতানি ১০ লাখ টন বাড়বে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা জানান, কিছু পাম অয়েল মিল রফতানি স্বল্পতার কারণে কৃষকদের কাছ থেকে পাম ফল ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে কৃষকদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার পর পাম অয়েলের দামে পুনরুদ্ধার ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *