পাম অয়েল উৎপাদন ও মজুদ ১০ মাসের সর্বনিম্নে
ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের মজুদ ১০ মাসের সর্বনিম্ন স্তর স্পর্শ করেছে। উৎপাদন কমে আসা ও রফতানির পরিমাণ বাড়ার ফলে এমন চিত্র দেখা গেছে। গতকাল রয়টার্সের প্রকাশিত এক জরিপে এমনটা দেখা যায়।জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে পাম অয়েল মজুদ ১১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টনে নেমে আসার ব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়েছিল ইনভেন্টরিগুলো, যা ২০২১ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন। পাম অয়েল আবাদকারী, ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের তথ্যে এ চিত্র ফুটে ওঠে। এক বছর আগে সর্বনিম্ন মাসিক মজুদের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ টন। একই সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশটিতে উৎপাদনের পরিমাণ ৫ শতাংশ কমে। এ সময়ে মালয়েশিয়ার উৎপাদিত পাম অয়েলের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ লাখ ৯০ হাজার টন। এটিও ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ ৮ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বিভিন্ন রফতানি শর্তের কারণে ক্রেতারা মালয়েশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে রফতানি পরিমাণে এ প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। ১০ মার্চ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড।