পাম অয়েলের খরচ কমিয়ে আনছে মালয়েশিয়া

স্টাফ রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহত দরপতনের ফলে মন্দা সময় পার করছে পাম অয়েল খাত। আগামী কয়েক মাসও ভোজ্যতেলটির বাজারে বিদ্যমান মন্দা ভাব কাটার সম্ভাবনা দেখছেন না খাতসংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় খরচ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছে মালয়েশিয়া। নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এফজিভি হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী হ্যারিস ফাদজিলাহ হাসান জানান, আগামী ১৮ মাস অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম কমে প্রতি টন ২ হাজার রিঙ্গিত (স্থানীয় মুদ্রা) বা ৪৮৬ ডলারের নিচে নেমে আসবে। অবস্থা বিবেচনায় আমাদের এখন দাম ও উৎপাদন খরচ দুটোই বিবেচনা করতে হচ্ছে। শুধু পাম অয়েলের দামের ওপর নির্ভর করার সুযোগ নেই।

বৈশ্বিক বাজারে উৎপাদন হওয়া মোট পাম অয়েলের ৯০ শতাংশ উৎপাদন হয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, দেশ দুটি যদি বায়োডিজেল তৈরিতে পাম অয়েলের ব্যবহার না বাড়ায়, তাহলে ভোজ্যতেলটির দাম আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় খাতটিতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার খরচ কমিয়ে আনছে দেশটি। আরএইচবি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক হো লি লেং জানান, বর্তমান অবস্থায় পাম অয়েল খাতে টিকে থাকা কঠিন। কিন্ত এখনো উৎপাদন প্রক্রিয়ায় খরচ ও লোকবল কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *