পাকিস্তানে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইউএই
বিভিন্ন খাতের পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাস, জ্বালানি অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করবে দেশটি।
পাকিস্তানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ ব্যাপক হারে কমেছে। মুদ্রার বাজারে মান হারিয়েছে পাকিস্তানি রুপি। এমন সময় দেশটিতে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ইউএই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিনিয়োগকারীরা আবারো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
এদিকে শিগগিরই পাকিস্তানের জন্য ঋণ প্রকল্পের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তির প্রক্রিয়া শুরু করবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। অর্থনৈতিক ধস ঠেকাতে ২০১৯ সালে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের অর্থ সহযোগিতা চুক্তি এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) স্বাক্ষর হয়। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানকে ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তিতে ১১৭ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল আইএমএফের। তবে চুক্তির সঙ্গে পাকিস্তানের সম্মতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি। এরপর কিস্তির ঋণ পরিশোধ এখনো বকেয়া আছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমএফের ঋণ সহায়তা পাকিস্তানের খুবই দরকার। চলতি বছরের জুলাইয়ে আইএমএফ ঋণ সহযোগিতার পরিমাণ ৬০০ কোটি থেকে ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এর জন্য এখনো নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। ঋণ সহায়তা প্যাকেজটি হাতে পেলে অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোও পাকিস্তানে আর্থিক সহযোগিতা করতে আগ্রহী হবে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতা বেদখলের পর থেকেই পাকিস্তানের মুদ্রার দরপতন ঘটেছে। পাকিস্তানি রুপির মান তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে আইএমএফের সহযোগিতা নিয়েও অনিশ্চয়তা ও দ্বিধা দেখা গিয়েছে। মুদ্রার দরপতনে দেশটির ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংশয় দানা বেঁধেছে। উপরন্তু খাদ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম হওয়ার জের ধরে দেশটিতে জনপ্রিয়তা কমেছে ইমরান খান-পরবর্তী সরকার শেহবাজ শরিফের।
এদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও কভিড মহামারীর কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে এর প্রভাব পড়েছে কমবেশি সব দেশের ওপর।
এমন সময় ইউএই দেশটিতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গ্যাসসহ জ্বালানি অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করবে ইউএই। এর ধারাবাহিকতায় প্রথমত খাতগুলো পুনরুদ্ধার হবে।