পশ্চিমা জ্বালানি শিল্পের ইতিহাসে রেকর্ড মুনাফা এক্সনের

স্টাফ রিপোর্টার

এক্সনমবিল করপোরেশনের বার্ষিক নিট মুনাফা গত বছর রেকর্ড স্পর্শ করেছে। মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে। সে হিসাবে কোম্পানিটি প্রতি ঘণ্টায় ৬৩ লাখ ডলারের মুনাফা ঘরে তুলেছে। এটি শুধু মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিটিরই নয়, বরং পশ্চিমা জ্বালানি শিল্পের ইতিহাসে রেকর্ড মুনাফা।

বিশ্বের শীর্ষ ছয়-সাতটি জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানি বিগ অয়েল, সুপার মেজরস বা অয়েল মেজর নামে পরিচিত। কোম্পানিগুলো হলো এক্সনমবিল, শেল পিএলসি, টোটালএনার্জিস, বিপি, শেভরন, ম্যারাথন, ফিলিপস ৬৬।

জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ও দামের কারণে এসব কোম্পানির বার্ষিক মুনাফা নিজ নিজ রেকর্ড ছাড়াবে বলে প্রত্যাশা। সম্মিলিত মুনাফার পরিমাণ ২০ হাজার কোটি ডলারের গণ্ডি স্পর্শ করতে পারে। তবে কোম্পানিগুলোর বিশেষ করে এক্সনমবিলের এমন নজিরবিহীন মুনাফা অর্জন সমালোচনার মুখে পড়েছে।

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখানে আমেরিকার মানুষকে জ্বালানি পণ্যের ব্যয় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে একটি কোম্পানির এমন নজিরবিহীন মুনাফা অর্জন ন্যক্কারজনক। কোম্পানিগুলোর মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার ওপর করারোপের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

২০০৮ সালে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪২ ডলারে পৌঁছলে এক্সন ৪ হাজার ৫২০ কোটি ডলারের নিট মুনাফা অর্জন করে। ওই সময়ের হিসাবে যা ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। গত বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০০৮ সালের তুলনায় অন্তত ৩০ শতাংশ কম ছিল। এরপর রেকর্ড মুনাফার কারণে নিম্নমুখী ব্যয়।

এক্সনের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ক্যথরিন কাইকেলস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এক বছরের ব্যবধানে অর্থের প্রবাহ ও আয় লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। এর মূল কারণ শক্তিশালী বাজার, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ।

এদিকে মুনাফা করারোপ করায় গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক্সনমবিল। কোম্পানিটি জানায়, এ করের কারণে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ১৩০ কোটি ডলারের মুনাফা হারিয়েছে এক্সন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *