পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলোর নিজস্ব আয় বাড়াতে মন্ত্রীর নির্দেশ
পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলোর নিজস্ব আয় বাড়াতে কী করা যায়, তা অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পল্লী উন্নয়ন একাডেমির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিমিয় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তাজুল ইসলাম। পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলোর কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে মতবিনিময় সভায় অংশ নিচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।
সভায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) ও জামালপুরের শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সরকারের পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত কি না মূল্যায়ন করতে হবে। দেশের উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলো কতটা ভূমিকা রাখতে পারছে, সেটাও বিবেচনা করতে হবে।
সভার শুরুতে নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন কুমিল্লায় অবস্থিত বার্ডের মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদ মোল্লা। সংস্থাটির আয়-ব্যয় অংশে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে পরিচালন ব্যয় ছিল ৩৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে পরিচালন ব্যয় ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানতে চান, এই ব্যয়ের পুরোটা সরকার দেয় কি না।
পরিচালন ব্যয়ের পুরোটা সরকার দেয় জানার পরে তাজুল ইসলাম কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নিজেদের চলার জন্য টাকা উপার্জনে আপনারা কী করেন? এমন কোনো কার্যক্রম আছে কি না? অন্য দেশে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলো নিজেরা আয় করে কীভাবে? আপনারা যে কাজ করেন এর চেয়ে ভালো করার সুযোগ ছিল।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মতবিনিময় সভা চললেও কোনো সংস্থাই তাদের উপস্থাপনা শেষ করতে পারেননি। আলোচনা চলে অনেকটা বিক্ষিপ্তভাবে। অংশ নেওয়া সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের অধিকাংশ বক্তব্যেই মন্ত্রী সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন।