পতনে শেয়ারবাজার
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও শেষপর্যন্ত সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেইসঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কমেছে লেনদেন।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টা অব্যাহত থাকে।
কিন্তু শেষ ঘণ্টার লেনদেনে এসে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেয়। এতে দেখতে দেখতে বড় হয়ে যায় দরপতনের তালিকা। ফলে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা থেকে সবকটি মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৭টির। আর ১৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। তবে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি ১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ২৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্সের ২২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমারেল্ড অয়েল।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ মনোস্পুল, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সমরিতা হাসপাতাল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আরডি ফুড।