ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে আজ দেখা যাবে ‘সুপারফ্যাক্টরিজ ওয়ালটন’

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের সফলতার গল্প এবার আসছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে। চ্যানেলটির জনপ্রিয় ‘সুপারফ্যাক্টরিজ’ সিরিজে প্রচার হতে যাচ্ছে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি)।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচার হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজ প্রচার করতে যাচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল।

৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্রটিতে দর্শকরা বাংলাদেশে ওয়ালটনের শীর্ষ ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পেছনের যাত্রা এবং এর পরিচালনা কার্যক্রম দেখতে পাবেন। এতে উঠে আসবে, কিভাবে ইলেকট্রনিক্স ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ; এমনকি এলিভেটর উৎপাদন, বিপণন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি পণ্যের হাব বা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ওয়ালটন।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের অনুষ্ঠানটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে ওয়ালটনের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে একটি কৃষিভিত্তিক দেশকে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনে ওয়ালটনের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা মাফিক তা বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ এ প্রামাণ্যচিত্রে উঠে আসবে।

‘সুপারফ্যাক্টরিজ: ওয়ালটন’ অনুষ্ঠানটি আধুনিক প্রকৌশল বিদ্যার সফল প্রয়োগ এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্যের অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার পেছনের গল্প দর্শকদের সামনে উন্মোচন করবে।

প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের জগতে ওয়ালটনের পথিকৃৎ হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার গল্প তুলে ধরবে। দর্শকরা ওয়ালটন কারখানার অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে পাবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে ওয়ালটনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম সম্পর্কেও জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ওয়ালটনের স্বপ্ন-যাত্রার কথাও এতে উঠে আসবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ওয়ালটন অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ওয়ালটন। এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের সফলতার গল্প আমরা দর্শক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে বিশ্ববাসী নতুন এক বাংলাদেশকে দেখতে পাবে। প্রামাণ্যচিত্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের জনপ্রিয় সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজ হাই-টেক ফ্যাক্টরিগুলো সম্পর্কে দর্শকদের আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে, যা তাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। এই প্রামাণ্যচিত্রে ওয়ালটন গ্রুপের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা এবং দেশটির ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্প খাতে তাদের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা এবং বিশাল কর্মযজ্ঞের বিষয়ে দর্শকরা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

জানা গেছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের এইচডি এবং এসডি উভয় ফরম্যাটে অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রামাণ্যচিত্রটি যথাক্রমে ৬ মার্চ (রোববার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, ১২ মার্চ (শনিবার) রাত ৮টা ৩০ মিনিট, ১৩ মার্চ (রোববার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, ১৯ মার্চ (শনিবার) রাত ৮টা ৩০ মিনিট, ২৭ মার্চ (রোববার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, ২ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিট এবং ৩ এপ্রিল (রোববার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পুনঃপ্রচার হবে।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক বাণিজ্যিক টেলিভিশন চ্যানেল। চ্যানেলটির অনুষ্ঠানগুলো ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু ইত্যাদি ভাষায় ডাবিং করা অডিও ফিডসহ প্রচারিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *