নেইমারের কাছে উড়ে গেল উরুগুয়ে

বলের দখলে ব্রাজিল এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলায় উত্তেজনার খামতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত নেইমারের স্পট কিক থেকে পাওয়া গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিতের শিষ্যরা।

ফাউল করেই নেইমারদের আটকাতে হবে এমন মন্ত্রই কি শিষ্যদের কানে পড়ে দিয়েছেন তাবারেজ? সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে এমিরেটস স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচে যে হারে উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা ফাউল করেছে তাতে এ কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বৈকি! ম্যাচে ৬টি হলুদ কার্ড দেখেছে উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা।

এত ফাউলের পরেও কি আটকে রাখা গেছে ব্রাজিলকে? যায়নি; গোলের প্রথম সুযোগ তৈরি করেছে ব্রাজিলই। যদিও সুযোগগুলো শেষতক কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার।

ম্যাচের ১৪তম মিনিটে নেইমার একাই দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। প্রথমবার ব্রাজিলের এই পিএসজি তারকার শট আটকে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক। পরেরবার তাঁর বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট।

পাল্টা আক্রমণে উঠে আসা সুয়ারেজরাও ভালো সুযোগ পেয়েছিল গোলের। এবার সেলেসাওদের রক্ষা করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। একবার সুয়ারেজের শট আরেকবার কাভানির শট আটকে দেন আলিসন। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য স্কোরলাইনে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধেও একই অবস্থা। কিছুতেই গোলমুখ খুলতে পারছিল না কোনো দল। শেষ পর্যন্ত গোলমুখের গিঁট খোলে ৭৬ মিনিটে এসে। তাও আবার স্পট কিকের বিনিময়ে। নিজেদের ডি বক্সে ফাউল করে বসেন উরুগুয়ের বার্সা তারকা সুয়ারেজ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে মোটেও সমস্যা হয়নি নেইমারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *