নিষিদ্ধর পর যা বললেন সাকিব

ভক্তরা ভালোবেসে ডাকেন ‘মিরপুরের নবাব’। তার পরিসংখ্যানও কথা বলে এই কথার পক্ষে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের যেই পরিসংখ্যান, তাকে কেতাবি ঢঙে ‘নবাবী’ বলাই যায়। বিশ্বের যেকোনো দল মিরপুরে খেলতে এলে সাকিবের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে বাধ্য হয়।

কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত ঘনাতে, যেই সাকিব আসলেন মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে, সেই সাকিবকে কোনোভাবেই অন্তত নবাব বলা যায় না। আইসিসি কর্তৃক পাওয়া দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা তার মাথায়। অপরাধ স্বীকার করে নেয়ার কারণে কমেছে এক বছরের শাস্তি।

তবু আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সবধরনের ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকতে হবে সাকিব আল হাসানকে। এ বিষয়ে দেশের সংবাদ মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্যই মূলত বোর্ডে এসেছেন সাকিব। যেখানে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনার পর সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে আসেন তিনি।

মূলত আইসিসিকে দেয়া বিবৃতিটিই লিখিত বক্তব্য আকারে পড়ে শোনান সাকিব। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব মর্মাহত। যেই খেলাটাকে এতো ভালোবাসি সেখানে নিষিদ্ধ হলাম। তবে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব আইসিসিতে না জানানোয়, আমি আমার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট খেলোয়াড়দের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আমার অংশটা ঠিকঠাক পালন করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সব খেলোয়াড়ের মতো আমিও চাই ক্রিকেট খেলাটা যেন দুর্নীতিমুক্ত থাকে। সামনের দিনগুলো আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে তাদের দুর্নীতিবিরোধী প্রোগ্রামে কাজ করতে আগ্রহী। আমি এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমার মতো ভুল যেন কোনো তরুণ খেলোয়াড় ভবিষ্যতে না করে।’

একইসঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন আগের চেয়ে আরও শক্ত হয়ে ফিরে আসার। এক্ষেত্রে তিনি দেশের সকলের কাছে সবসময়ের মতো সমর্থন চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *