নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংক সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা, ঈদের বন্ধে

স্টাফ রিপোর্টার

আসন্ন ঈদে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। এ সময়ে শাখা বন্ধ থাকলেও এটিএম বুথ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেল (পস), কিউআর কোড ও অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়েতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো ক্ষেত্রে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩এপ্রিল ২৩)এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।

ঈদের আগে ব্যাংকে শেষ নিয়মিত লেনদেন হবে আগামী মঙ্গলবার। এরপর টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটি। অবশ্য ঈদের আগে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার তৈরি পোশাকসংশ্লিষ্ট সব শাখা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে এটিএম বুথ রয়েছে ১৩ হাজার ৫২৪টি। পস রয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ১৯৯টি। ১ হাজার ২০টি সিডিএম ও ২ হাজার ৭৩৯টি রয়েছে সিআরএম। ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সারাদেশে প্রায় ১৬ লাখ এজেন্ট রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলা, পস থেকে লেনদেন করতে পারেন। ঢাকা শহরে একই ব্যাংকের একাধিক এটিএম বুথ থাকলেও অনেক থানায় সব মিলিয়ে হয়তো একটি বা দুটি ব্যাংকের বুথ রয়েছে। ঈদের সময় ঢাকার বাইরে এসব বুথ থেকে টাকা তোলার চাপ বাড়ে। কোনো কারণে বুথে টাকা না থাকলে অনেকে সমস্যায় পড়েন।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঈদের বন্ধে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজ গ্রাহক ও অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের জন্য একক লেনদেনে টাকা উত্তোলনের সীমা একই রাখতে হবে। এটিএম বুথে পাহারাদারের সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক কর্মকর্তাকে বুথ পরিদর্শন করতে হবে। পয়েন্ট অব সেলস এবং কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন সার্বক্ষণিক নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে। এমএফএস সেবায় নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন ও এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত নগদ টাকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

ঈদের বন্ধের মধ্যে এসব সেবার আওতাধীন সব ধরনের পদ্ধতির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঝুঁকি মোকাবিলার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যে কোনো লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে। ইলেকট্রনিক লেনদেনে গ্রাহকদের সতর্ক করতে গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কোনো অবস্থায় গ্রাহক যেন হয়রানিতে না পড়েন, সে জন্য বন্ধের মধ্যেও সার্বক্ষণিক হেল্প লাইন চালু রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *