নিম্নমুখী স্বর্ণের বাজার
মুদ্রাবাজারে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হওয়ায় নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে স্বর্ণের বাজার। গতকাল পণ্যটির দাম কমেছে। খবর রয়টার্স।
স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৫ শতাংশ। এদিন পণ্যটির আউন্সপ্রতি ১ হাজার ১৮৬ দশমিক ২৯ ডলারে লেনদেন হয়। ভবিষ্যৎ চুক্তির বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৫ শতাংশ। এ বাজারে পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ১৯০ দশমিক ৬০ ডলারে লেনদেন হয়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ওই সময় জানানো হয়, ২০১৯ সালের মধ্যে সুদহার আরো চারবার বাড়ানো হতে পারে। এ কারণে মূলত মুদ্রাবাজারে ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
সাধারণত স্বর্ণ ও ডলার বিপরীতমুখী আচরণ করে। ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়লে ভিন্ন মুদ্রা ব্যবহারকারীদের জন্য স্বর্ণ ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। এতে চাহিদা কমে গিয়ে পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। আবার ডলারের বিনিময় মূল্য কমলে স্বর্ণ তুলনামূলক সস্তা হয়ে ওঠে। এতে চাহিদা বেড়ে স্বর্ণের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
ওসিবিসির বিশেষজ্ঞ বার্নাবাস গ্যান বলেন, এ সন্ধিক্ষণে স্বর্ণের বাজার ডলারের ওপর নির্ভরশীল রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তরতাজা আছে এবং তা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো। বর্তমান সরকারের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা ডলারের জন্যও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, উৎসবের কারণে চীনে লেনদেন বন্ধ থাকায় স্বর্ণের বাজারে এমনিতেই নিম্নমুখী প্রবণতা আছে।
অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে প্যালাডিয়ামের দাম কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ। এদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬৫ দশমিক ২২ ডলারে লেনদেন হয়। রুপার দাম কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ। এদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১৪ দশমিক ৫৬ ডলারে লেনদেন হয়। প্লাটিনামের দাম কমেছে দশমিক ২ শতাংশ। এদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ৮১০ দশমিক ৬৫ ডলারে লেনদেন হয়।