নিম্নমুখী মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার

দুর্বল চাহিদার প্রভাবে নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের বাজার। গতকাল পণ্যটির দাম ১ শতাংশেরও বেশি কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের অন্যতম ক্রেতা দেশ চীন। কিন্তু দেশটিতে কভিড-১৯ জনিত বিধিনিষেধের কারণে পণ্যটির চাহিদায় ভাটা পড়েছে।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ৬৫ রিঙ্গিত বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৮ রিঙ্গিত বা ৯২২ ডলার ৬৯ সেন্টে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সম্প্রতি চীন জিরো কভিড নীতি থেকে সরে আসবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি হয়। কিন্তু বাস্তবে সেটির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পাম অয়েলের বাজারে অনিশ্চয়তা লেগেই আছে। চীনে এরই মধ্যে বিধিনিষেধের কারণে চাহিদা কমছে।

আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ রিঙ্গিতের মধ্যে অবস্থান করবে বলে ধারণা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি পাম অয়েল উৎপাদন বেড়েছে। এতে তুলনামূলক কম আমদানি করতে হয়েছে পণ্যটির। উৎপাদন বাড়ায় গত মাসে মজুদ বেড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ১০ নভেম্বর (আজ) মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন মজুদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

রয়টার্সের দেয়া তথ্য বলছে, অক্টোবরের পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়াতে পারে ২৫ লাখ ৩০ হাজার টনে, যা এর আগের মাসের তুলনায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের পর এটিই হতে যাচ্ছে সর্বোচ্চ মজুদ।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে পাম অয়েল সংগ্রহের সবচেয়ে ভালো সময় চলছে। এ কারণে উৎপাদনের পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে গত মাসে উৎপাদন এক মাসের ব্যবধানে ৩ শতাংশ বাড়তে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৮ লাখ ২০ হাজার টনে।

পাঁচ মাস ধরেই মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী। তবে গত মাসে উৎপাদন পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভালো। এ সময়ের উৎপাদন দুই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলতি ও আগামী মাসে উৎপাদন কমতে পারে। কারণ বছরের শেষ সময়ের বৃষ্টিপাতে এ সময় পাম ফল সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

এদিকে উৎপাদন ও মজুদের পাশাপাশি রফতানিতেও প্রবৃদ্ধি দেখেছে মালয়েশিয়া। গত মাসে দেশটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করে। এক মাসের ব্যবধানে রফতানি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানি কমেছে ১১ দশমিক ২ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *