নিম্নমুখী ডালের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে বেশ কিছুদিন ধরেই নিম্নমুখী ডালের বাজার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৩-৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ডালের সরবরাহ স্বাভাবিক। এছাড়া শীতকালীন সবজি সরবরাহ ও দাম কম থাকায় ডালের বেচাকেনা কম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২৩ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ১২৬ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ৩ টাকা।

ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৩২ টাকা কেজি দরে, যা ১০-১২ দিন আগে ছিল ১৩৫ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ৩ টাকা। ভারতে আরে কোয়ালিটির (৩০ কেজি) দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজি দরে, যা ১৫ দিন আগে ছিল ১২৮ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ৩ টাকা।

বোল্ডার মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৮৮ টাকা কেজি দরে, যা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ছিল ৯২ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ৪ টাকা। ভাঙা মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৮৬ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ৬ টাকা।

খেসারি ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৭১ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৩ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২ টাকা। মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১০২ টাকা কেজি দরে, যা এক মাস ধরে একই দামে বেচাকেনা হচ্ছে।

ডাব্লি বেচাকেনা হচ্ছে ৫৭ টাকা কেজি দরে, যা বাজারে বেশ কিছুদিন আগেও ছিল ৫৯ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৫৯ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ৬১ টাকা। দাম কমেছে ২ টাকা।

ডাল ব্যবসায়ী গোলাপ মিয়া জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের ডালের দাম নিম্নমুখী। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় ডালের চাহিদা কম।

আরেক ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা জানান, প্রতি বছরই শীতের মৌসুমে ডালের বাজারে মন্দা দেখা দেয়। বর্তমানে ডাল কেনাবেচা কম। এ কারণে দামও নিম্নমুখী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *