নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী ডালের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে ডালের পাইকারি বাজার নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। প্রায় সব ধরনের ডালের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৫-১০ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে ডালের দাম কমের দিকে থাকলেও খুচরা বাজারে এখনো আগের দামেই বেচাকেনা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশী মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগেও একই ডাল বেচাকেনা হয়েছিল ১২০ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। দিল্লি সুপার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ১০ দিন আগেও একই ডাল বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১০ টাকা।

আস্ত মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৮৩ টাকা কেজি দরে। এ ডাল দুই সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৯৫ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম কমেছে ১২ টাকা। ভাঙা মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। ১০-১২ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৮৫ টাকা কেজি দরে। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা। মুগডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে। একই ডাল দুই সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ১১০ টাকা কেজি দরে। সে হিসাবে দাম কেজিপ্রতি কমেছে ১২ টাকা। ডাব্লি বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৪৯ টাকা কেজি দরে। একই ডাল কয়েকদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৫৪ টাকা কেজি দরে। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। ছোলা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। ১০-১২ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৬৪ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে কেজিপ্রতি দাম কেমেছে ৬ টাকা।

তবে বাজারে বেড়েছে খেসারি ডালের দাম। হোটেল রেস্তোরাঁয় এ ডালের ব্যবহার বেশি হয়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খেসারি ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৬৭ টাকা কেজি দরে, যা কয়েকদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৬১ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে খেসারি ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা।

নিতাইগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় ডালের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। তবে গত বছরের তুলনায় ডালের দাম এখনো বেশি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সংকটের কারণে মূলত ডালের দাম অনেক বেড়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘‌বাজার মূলত নিয়ন্ত্রণ হয় বড় বড় কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে। কোম্পানিগুলোর কাছে নারায়ণগঞ্জে নিতাইগঞ্জের ছোট ছোট ডালের মিলগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ’

আরেক ডাল ব্যবসায়ী দিলীপ সাহা জানান, বাজারে ডালের দাম স্থিতিশীল আছে। মাস দুয়েক আগে ডালের দাম বেড়েছিল। সে তুলনায় বর্তমানে কেজিপ্রতি ডালের দাম ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে ডালের কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতারা ডালের সরবরাহ পাচ্ছেন। সে কারণেই ডালের দাম কিছুটা কমেছে।

ডাল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, বাজারে ডালের দাম কমতির দিকে থাকলেও বেচাকেনা খুবই কম। আগে যেখানে প্রতিদিন দুই-তিন টন ডাল বেচাকেনা হতো, সেখানে এখন কয়েক মণ বেচাকেনা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণেই মানুষ ডাল কম কিনছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *