নারায়ণগঞ্জে মসলার দাম ঊর্ধ্বমুখী
ডলার সংকট, এলসি জটিলতা, আমদানিনির্ভরতাসহ রমজান উপলক্ষে চাহিদা বাড়ায় সব ধরনের মসলাপণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই মাসের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ভালো মানের এলাচ ২ হাজার ৮০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। কিছুটা নিম্ন মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ ও ১ হাজার ৩৫০ টাকা দরে। যা দুই মাস আগেও যথাক্রমে ১ হাজার ৯০০, ১ হাজার ২০০ ও ১ হাজার ১০০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
ভালো মানের দারচিনি বেচাকেনা হচ্ছে ৪৩০ টাকা কেজি দরে। যা দেড়-দুই মাস আগেও ৪০০ টাকা ছিল। সে হিসেবে দারচিনির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। বাজারে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে। একই লবঙ্গ দুই মাস আগেও ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসেবে লবঙ্গের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়েছে।
অন্যদিকে ৫৮০ টাকা কেজি দরে জিরা বিক্রি হচ্ছে। একই জিরা কয়েক মাস আগে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সে হিসেবে জিরার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। সাদা গোলমরিচের বর্তমান বিক্রয়মূল্য ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকা। কয়েক সপ্তাহ আগে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি দাম প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে। কালো গোলমরিচ ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যার মূল্য ছিল ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা। তেজপাতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, যা কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে।
ভালো মানের কিশমিশ বাজারে ৪৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিন-চার সপ্তাহ আগে এর মূল্য ছিল ৪০০ টাকা। কিছুটা নিম্ন মানের কিশমিশ ৩৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে এর দর ছিল ৩৫০ টাকা।
নিতাইগঞ্জের পাইকারি মসলাবিক্রেতা আবুল হাসনাত টিপু বলেন, ‘এক-দেড় মাস আগে মসলার দাম আরো বেড়েছিল। প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে আবার কিছুটা কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গসহ সব মসলাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বর্তমানে দেশে ডলারের সংকট, এলসি জটিলতা, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে মসলার চাহিদা বেড়েছে। ফলে দামও বেড়েছে।’
আরেক ব্যবসায়ী জানান, রোজার সময় বাংলাদেশে সব পণ্যের দামই বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। মসলার বাজারেও একই অবস্থা হয়েছে। বাজারে চাহিদা বাড়ায় এবং আমদানি দেরি হওয়ায় বাজারে দাম বাড়ছে। তবে বাজারে কোনো পণ্যের সংকট নেই বলে জানান তিনি।